ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে চলছে জগন্নাথপুর বাসুদেব বাড়ী “আনন্দময়ী” দূর্গাপূজা

জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে চলছে জগন্নাথপুর বাসুদেব বাড়ী আনন্দময়ী পূজা উদযাপন পরিষদের দূর্গাপূজা। জগন্নাথপুর বাসুদেব বাড়ী আবাসিক এলাকায় ৪র্থ বারের মত আনন্দময়ী পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ১৫ অক্টোবর থেকে র্দূগাপূজা শুরু হয়েছে।
সোমবার কল্পরম্ভ সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রন অধিবাসের মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। ঐদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত থাকবে মন্ডপ এলাকা। ১৬ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৭ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১৯ অক্টোবর মহানবমী বিহিত পূজা এবং বিজয়া দশমী ও দর্পণ বিসর্জন। সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন ঘোটকে এবং বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে। দুর্গা শব্দের অর্থ হলো আবদ্ধ স্থান। যা কিছু দুঃখ-কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে, যেমন বাধাবিঘœ, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামে অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাঁকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। উমা থেকে পার্বতি।

তারপর পার্বতি থেকে দুর্গা। এই নামেই তিনি বেশী পরিচিত। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে আছে তিনি গিরিরাজ হিমালয়ের কণ্যা ও পর্বতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই তিনি পার্বতি। পরের অধ্যায়ে তিনি হয়ে উঠেন দানব দলনী দশভুজা। পৃথিবী থেকে অশুব শক্তিকে নিধন করার জন্য মায়ের আবির্ভাব আর তখনি তাঁহার নাম হয় দুর্গা। গত মঙ্গলবার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এডভোকেট বিমান দাশের নেতৃত্বে একটি দল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। তাছাড়া জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত নব গোপাল দাশ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। আনন্দময়ী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিন্টু রঞ্জন ধর ও সাধারন সম্পাদক কাজল বণিক জানান, সুষ্টু ও শান্তিপূর্নভাবে দুর্গাৎসব পালিত হচ্ছে। পূজাকে সুন্দর ও শান্তিপূর্নভাবে সফলের লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা