নবীগঞ্জে তরুনীর রহস্যজনক মৃত্যু “তোর কারণে মরণ আমার ক্ষমা করে দিস অ

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে
তামান্না আক্তার (১৮) নামের এক যুবতির মৃত্যু নিয়ে রহস্যের
সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যা রাতে
নিহত তামান্নাকে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় ঘরের
মধ্যে দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপে-ক্স এ নিয়ে যান।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ইদ্রিস আলম ওই যুবতিকে
মৃত বলে ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ইদ্রিস
আলম জানান, নিহতের গলায় দাগ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে
নবীগঞ্জ থানা পুলিশ কে বিষয়টি অবগত করি। পরে নবীগঞ্জ থানা
পুলিশের এসআই আব্দুল ওয়াাদুদ এর নেতৃত্বে একদল পলিশ
হাসপাতালে পৌঁছে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে জানান,
নিহতের শরীরের গলায় দাগ ঠোটের নিচে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া
গেছে। বিশেষ করে পেটের মধ্যে মেহেদি দিয়ে লেখা “তোর
কারণে মরণ আমার ক্ষমা করে দিস অ” । এর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ।
তবে লাশের ময়নাতদন্ত করার পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি
পরিষ্কারভাবে জানা যাবে। নিহতের পিতা কাপ্তান মিয়া বলেন,
তামান্না আমার মেজো মেয়ে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া
করার পর আর লেখাপড়া করেনি। আমি বাজারে ছিলাম বাজার থেকে
ফিরে এসে তামান্নাকে না দেখতে পেয়ে ডেকে আনার জন্য
তামান্নার সৎ মাকে তার রুমে পাঠাই। তামান্নাকে অচেতন
অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে আমি দৌড়ে
গিয়ে দেখতে পাই তামান্না অচেতন অবস্থায় নিছে পড়ে
রয়েছে। পরে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপে-ক্স এ নিয়ে গেলে ডাক্তার
তামান্নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, আমার মেয়ে কোনো ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে
বলে আমার জানা নেই। তামান্নার মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই
এলাকায় রহস্যের জট সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
একজন বলে তামান্না ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে কেউ
বা বলছেন পরিবারের কেউ এই হত্যা করেছে তামান্নাকে । তবে
লাশের ময়নাতদন্ত করার পর এই বেরিয়ে আসবে তামান্নার মৃত্যুর
রহস্য হত্যা নাকি আত্মহত্যা । এদিকে তামান্নার বাবা
কাপ্তান মিয়া বাদী হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানায়
একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। তবে মেহেদি দিয়ে
লেখা “তোর কারণে মরণ আমার ক্ষমা করে দিস অ” । এর রহস্য
উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ । এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি
মোঃ আজিজুর রহমান জানান, মেয়েটির লাশ পোষ্ট মর্টেম
রিপোর্টের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। প্রকৃত
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা