উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম দ্বীন হবিগঞ্জের শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হকের দাফন সম্পন্ন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর জামেয়, ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও হবিগঞ্জ ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের নেতা শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উমেদনগর টাইটেল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা মাসরুরুল হক। আল্লামা তাফাজ্জল হকের জানাজার নামাজে অংশ গ্রহন করার জন্য রবিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার ভক্তরা আসতে শুরু করেন। মানুষের সমাগমের ভোর সকাল থেকে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ সড়ক ও বানিয়াচং সড়কের যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট আর উপচে পড়া ভীরের কারণে অনেক লোকজন মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে যেতে পারেনি। খোয়াই মুখ থেকে নবীগঞ্জ সড়কের আলমপুর পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ দাড়িয়ে জানাজায় শরীক হন। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে আল্লামা তাফাজজ্জল হক শেষ নিশ^াস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২বছর। তিনি বেশ কিছু দিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি উমেদনগরের ‘বড় হুজুর’ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন।
১৯৪৪ সালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা আব্দুন নুর ছিলেন একজন বড় আলেম। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায়।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত পির ও আলেমে দ্বীন চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদ শফি আল্লামা তাফাজ্জুল হকের শিক্ষক।
তাফাজ্জুল হক ৩৮ বার হজ করেছেন। হবিগঞ্জ খোয়াই মুখ এলাকায় নুরুল হেরা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ একাধিক ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। গরিব-দুস্থদের সাহায্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন খুদ্দামুদ্দিন সমিতি।

তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী ও কয়েক হাজার ভক্ত তার বাসভবনে ভিড় করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা