দরিদ্রদের রোজগারের উপকরণ দান করুন- —-আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী

বুলবুল আহমেদঃ– উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এর ১৪তম বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল উপলক্ষে গতকাল ১৫ই  জানুয়ারি (২০২২ইং শনিবার) সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী ছাহেববা
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলী, জালালপুর জালালিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল আহমদ, ফেনী ছাগলনাইয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ ভূইয়া ও দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ।
বাদ আসর বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মুহতারাম সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী উপস্থিত ইসলামপ্রিয় জনতার উদ্দেশ্যে ঈমান জাগানিয়া দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয় দুর্বৃত্তদের আনাগোনা লক্ষ্য করছি। পাঠ্যক্রমে ডারউইনের মতবাদসহ নাস্তিক্যবাদ ঢেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, এটি তাঁর অনুমোদনক্রমে হচ্ছে কিনা। আমাদের বিশ্বাস তিনি জানলে দেশ ও জাতি এমন বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। তা না হলে এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এ অপচেষ্টা রুখে দাঁড়াতে পিছপা হবেনা। আমরা সাবধান করে দিতে চাই, ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষায় আমরা অতীতে লংমার্চ করেছি প্রয়োজনে আবার করব, নিজেদের জীবন কুরবান করতেও কুণ্ঠাবোধ করব না। তিনি বলেন, আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এর প্রতিষ্ঠিত গণসংগঠন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ছাহেব কিবলাহর সকল মুরিদীন, মুহিব্বীনদের সংগঠনমুখী হতে হবে। আমরা কোন লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতিতে নয়, নির্বাচনমুখীও নয়, তবে প্রয়োজনে আমাদেরকে প্রতিটি অঞ্চলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ছাহেব কিবলাহ শুধু খানেকার পীর ছিলেন না, প্রয়োজনে মর্দে মুজাহিদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাঁর অনুসারীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ইসলামের সৌন্দর্য রক্ষায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজকে অশ্লীলতামুক্ত, বাজারকে ভেজালমুক্ত, মসজিদের মিম্বরকে গোস্তাখে রাসুল মুক্ত করাসহ সরকারকে ইসলামী নীতির উপরে অটল থাকতে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) অসংখ্য গুণে গুণান্বিত ছিলেন, নবীর ওয়ারিছ হওয়ার জন্য যত গুণ দরকার তা তাঁর মধ্যে ছিল। এজন্য তাঁর জীবনে আকাবীরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। তিনি যে মাসলাক রেখে গেছেন, তা একক কোন মাসলাক নয় বরং তা আকাবীরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হয়ে স্বয়ং রাসূলে কারীম (সা.) এর মাসলাক। তাই আমাদেরকে এ মাসলাকের ছায়াতলে আশ্রয়গ্রহণ করে থাকতে হবে। যারা ইসলামের মধ্যে ফিরকা সৃষ্টি করছে তাদের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
তিনি মাহফিল সফলের লক্ষ্যে প্রশাসনসহ যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ আবু জাফর রাজু, ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারী হাফিয মাওলানা ফখরুদ্দীন চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে ফুলতলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, সৎপুর কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা শফিকুর রহমান, ইছামতি কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাশুক আহমদ, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রহীম, জকিগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ জাফর মুহাম্মদ নুমান, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাথিউউরা সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল আলিম, বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফজলে এলাহী মামুন, জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাযিল সাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোশাহিদ আহমদ কামালী,  ঢাকা জেলা লতিফিয়া কারী সোসাইটির সভাপতি মাওলানা আবু সাদেক মুহাম্মদ ইকবাল খন্দকার ও সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মকন মিয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা