স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সম্প্রতি উপজেলার পানিউন্দা ইউপির নোয়াগাওঁ হাওরে গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন (বীর প্রতীক) এর মালিকানাধীন ফিশারিতে অবস্থানরত পাহারাদার ও তার স্ত্রীকে বেদরক আঘাত করে নোয়াগাওঁ গ্রামের কতিপয় লোকজন। আহত দম্পতি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় মামলাও করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামসহ ৬ মৌজার লোকজন মিটিং করে নোয়াগাও গ্রামে হামলা করার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ডালিম আহমদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে নোয়াগাও গ্রাম থেকে একটু দুরবর্তী স্থানে মিটিং করেন। এই সুযোগে সাতাইহাল ৬ মৌজার লোকজন হাকডাক দিয়ে বিকল্প রাস্তায় নোয়াগাওঁ গ্রামে ঢুকে হামলা, ভাংচুরসহ তান্ডবলীলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করে ১৫/১৬টি গরু, ১০/১৫টি ছাগল, অসংখ্য হাসঁ মোরগ এবং বিভিন্ন বাড়ি থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার মন ধান লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া অগ্নি সংযোগের ফলে ১৩টি পাকা-আধা পাকা, টিনসেটের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ধান-চালসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমান হবে প্রায় ৬০/৭০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ৬ মৌজার তান্ডবে নোয়াগাওঁ যেন মৃত্যুপুড়িতে পরিনত হয়েছে। মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার ও কান্নার রুল।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, সাতাইহাল ৬ মৌজার মানুষ এত দুর থেকে এসে নোয়াগাওঁ গ্রামে ঢুকে যে তান্ডব করেছে তা দুঃখ জনক। তাদের তান্ডবের সময় ধান, গরু, ছাগল, হাসঁ মোরগ এমনকি মোরগের ডিম পর্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে যায়। ১৩টি ঘর সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান হবে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply