নবীগঞ্জের ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা॥ প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ ও নিন্দা

আলী জাবেদ মান্না:: নবীগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার ৫ সাংবাদিকের উপর দায়ের করা হয়েছে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাংবাদিক মহলে। নারী নির্যাতন, অপহরণের চেষ্টা ও চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দায়ের করা মামলার বাদীর নাম ফয়জুন আক্তার মনি। তিনি ইতিপূর্বের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বির্তকিত। এমনকি ৬ মাস পূর্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ৩ মাস কারাভোগ করে জামিনে আছেন। তার মামলার ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জনই শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত। নবীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের অভিযোগ- সম্প্রতি ৩ সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবার ৫ সাংবাদিকের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা দুটির খল নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন। এ মামলায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মামলার আসামী সাংবাদিকরা হলেন- সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার (চিকিৎসাধীন) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি, নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহ সুলতান আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ, দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি এম মুজিবুর রহমান, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া। ৫ জন সাংবাদিক ছাড়াও সাকির আহমেদ নামের স্থানীয় এক যুবককে আসামী করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ ত্রাণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদ উপর অতর্কিত হামলা চালান। এসময় চেয়ারম্যান হারুন নিজেই ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পেটান সাংবাদিককে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ। এ ঘটনায় সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যান হারুনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চেয়ারম্যান হারুন। নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকদের অভিযোগ, নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকেই কিভাবে সাংবাদিকদের সায়েস্থা করা যায় এমন নিল নকশা তৈরী করেন চেয়ারম্যান হারুন ও তার বাহিনী। এরই জের ধরে নবীগঞ্জে কর্মরত ৫ সাংবাদিককে আসামী করে বিতর্কিত এক মহিলাকে বাদী করে মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনের মালিকানাধীন অরবিট হসপিটাল। এদিকে- নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সাংবাদিক মহলে। এ মামলা দায়ের ঘটনায় তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক অনলাইন সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদার, সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, ফখরুল আহসান চেšধুরী, আনোয়ার হোসেন মিঠু, সাইফুল জাহান চেšধুরী, আলাউর রহমান ঠাকুর, এটিএম সালাম, বর্তমান সহ- সভাপতি আশাহীদ আলী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কিবরিয়া চেšধুরীর, কোষাধক্ষ্য আকিকুর রহমান সেলিম, নিবার্হী সদস্য অলিউর রহমান অলি, সদস্য রাকিল হোসেন, উত্তম কুমার পাল হিমেল, আবু তালেব, মোঃ সেলিম তালকুদার, সলিল বরণ দাশ, এটিএম জাকিরুল ইসলাম, এম এ মুহিত, মতিউর রহমান মুন্না, ছনি চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, তৌহিদ চেšধুরী, মোহাম্মদ শওকত আলী, মোজাইদ আলম চেšধুরী, নুরুজ্জামান ফারুকী, নাবেদ মিয়া প্রমুখ।

 

Chat conversation end
Type a message…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা