নবীগঞ্জে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার। পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড

আলী জাবেদ মান্না চীফ রিপোর্টার::নবীগঞ্জ- ইনাতগঞ্জ  সড়কে  এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যাক্তি হলো  উপজেলার পূর্ব বড় ভাকৈর  ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের  মরহুম আবুল কালাম আজাদের পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া (৩৫) । এটা পরিকল্পিত হত্যা নাকি সড়ক দুর্ঘটনা এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ আগনা গ্রামের নিকটে ইনাতগঞ্জ – নবীগঞ্জ সড়কে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায়
রাস্তায় দেখতে পান এলাকাবাসী। এ সময় আলমগীরের ভাই জুনেল আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লাশটি আলমগীরের বলে সনাক্ত করেন।
খবর পেয়ে  ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ  সামছুদ্দিন খাঁন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশটি উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী  করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ  আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পরে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলর এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরীও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
 এদিকে  আলমগীর মিয়ার মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে। এবং এটাকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়।
 নিহত মোঃ আলমগীর মিয়ার ভাই জোনেল আহমেদ জানান, তার ভাই বেগমপুর গ্রামে একটি আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। জুনেল বলেন, যেভাবে রাস্তায় আমার ভাইয়ের লাশ ফেলে রাখা হয়েছে এবং শুধুমাত্র মাথায় আঘাত করা হয়েছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যদি সড়ক দূর্ঘটনা হত তাহলে শুধু মাথায় আঘাত নয় সম্পূর্ণ শরীরে একাধিক স্পট থাকত। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ  সামছুউদ্দিন খাঁন জানান, রাতে কোন অজ্ঞাতনামা গাড়ী থাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি।
তার শরীরের বিভিন্ন অংশে সড়ক দুর্ঘটনার চিহ্ন রয়েছে। আমরা ধারনা করছি এটা একটি সড়ক দুর্ঘটনা তবে নিহত পরিবার যদি মামলা দায়ের করে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে পরে বুঝতে পারবো এটা পরিকল্পিত হত্যা নাকি দুর্ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা