“নবীগঞ্জে ভুয়া দাঁতের ডাক্তার আটক” সংক্রান্ত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও তার স্বপক্ষে ব্যাখ্যা

বিগত ২৮ শে এপ্রিল ২০২১ইং বুধবার হবিগঞ্জ জেলার স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টালে “নবীগঞ্জে ভুয়া দাঁতের ডাক্তার আটক জেল-জরিমানা” শিরোনামযুক্ত কতগুলো সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচরীভূত হয়েছে। উক্ত সংবাদসমূহে সাজাপ্রাপ্ত ডেন্টাল প্র্যাকটিশনারকে ভূয়া ডাক্তার হিসেবে জেল-জরিমানা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এ নিয়ে গতকাল রবিবার বিএসসি ডেন্টাল এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ সারোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও মহাসচিব উত্তম কুমার স্বাক্ষরিক একটি প্রেস বিবৃতি প্রদান করেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসসি ডেন্টাল এসোসিয়েশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রাকিবুল হাসান, যুগ্ম মহাসচিব রতন চন্দ্র দাশ, সাংগঠনিক সচিব আরাফাত মোহাম্মদ এনজেল, অর্থ সচিব মোঃ আশরাফুল কবীর, দপ্তর সচিব সুমন শেখ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইকবাল, সিলেট রিজিয়নাল কমিটির সভাপতি হিমাচল দত্ত, সিলেট রিজিয়নাল কমিটির অর্থ সচিব মনিরা খাতুন প্রমুখ। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন যে, অভিযোগকারী একজন সেনা সদস্য রোগী হিসেবে প্র্যাকটিশনারের নিকট প্রত্যাশিত সেবায় পর্যাপ্ত সন্তোষজনক না হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন এবং সে প্রেক্ষিতে গত ২৭ শে এপ্রিল ২০২১ইং মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে উক্ত অভিযোগকে আমলে নিয়ে ঐ ডেন্টাল প্র্যাকটিশনারকে ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইনের ৭ (২) এবং ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ধারায় অভিযুক্ত করে। কিন্তু বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক উক্ত প্র্যাকটিশনারকে হাতুড়ে চিকিৎসক বা ভূয়া ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়নি এবং এমনকি সে সংক্রান্ত কোন ধারাও সাজায় সংযুক্ত ছিল না। অথচ স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমগুলো মূল বিষয়কে পাশ কাটিয়ে কোন এক অদৃশ্য কারণে অথবা জনগণকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ভূয়া/হাতুড়ে/অবৈধ ডাক্তার আটক মর্মে সংবাদ পরিবেশন করেছে যা কখনোই কাম্য নয়। চিকিৎসকের বৈধতা সংক্রান্ত বিষয়াদি ‘বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। অপরদিকে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ ভোক্তার অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সংরক্ষণ করে থাকে। ভোক্তা তাঁর প্রতিশ্রুত সেবা বা প্রাপ্ত সেবায় অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযোগ করলে আমলযোগ্য অভিযোগের সুরাহা উক্ত আইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভোক্তার অভিযোগ থাকতেই পারে কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকের বৈধতার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী অপু ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ডেন্টাল ডিগ্রীধারী এবং মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশক্রমে উনি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষার গ্রাজুয়েট ডিগ্রীধারী একজন প্র্যাকটিশনারের যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই না করেই নির্বিচারে ‘ভুয়া/অবৈধ’ অভিযুক্ত করা নিঃসন্দেহে তাঁর জন্য সম্মান হানিকর ও লজ্জাকর। শুধু তাই নয়, এহেন অপরিপক্ক কর্মকান্ড যে কোন ডিগ্রীধারী পেশাজীবির জন্য সামাজিকভাবে অত্যন্ত অপমানজনক। বিএসসি-ডেন্টাল এসোসিয়েশন উক্ত প্রকাশিত সংবাদসমুহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন সংবাদ পরিবেশন, প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহলকে আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মহি উদ্দিন এঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওকে কোন ভাবেই ভূয়া ডাক্তার বলা যাবে না কারণ- যেহেতু উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ডেন্টাল ডিগ্রীধারী তাই তাকে ভূয়া ডাক্তার বলা যাবে না এবং ওই দিন তাকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ (৪৫) ধারায় সাজা দেয়া হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা