নবীগঞ্জ আঃ লীগ নেতা মুকুলসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ভাচুর্য়াল প্রতিবাদ সভা

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর পরগনার সাতাইহাল গ্রামসহ ৬ মৌজার লোকজনদের উপর দায়েরী মামলা মিথ্যা দাবী করে হয়রানি বন্ধ করতে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ সাতাইহাল গ্রামের গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কমিউনিটি প্রবাসীদের ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে অনুষ্টিত ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন শামসুউদ্দীন আহমদ এমবিএ ও নুরুল ইসলাম। কোরআন তেলাওয়াত করেন শেখ ফরহাদ সাদউদ্দিন।

একেএম মোফাজ্জল হাসানের পরিচালনায় ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভায় ৬ মৌজার মুরব্বিয়ন এতে বক্তব্য রাখেন হারুনুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, একেএম মাজহারুল হাসান(শেবু), মো:দুরুদ মিয়া, মিলাদুর রহমান মিলাদ, মাহবুবর রহমান মান্না, কামরুল হাসান, রাসেল আনসারি, সুমন আহমদ, ফুল মিয়া, রাহিন আহমদ, আনিসুর রহমান পাবেল, জুমুর রহমান প্রমুখ।

প্রবাসীরা তাদের প্রতিবাদ সভায় দিনারপুরের ৬ মৌজার লোক জনের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা জন্য দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার কৃতদের দ্রুত মুক্তি প্রদান করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

প্রবাসীগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দীন আহমদ (বীর প্রতীক) এর ১৩ নং পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৎস্য ফিসারীতে গত ২৬ মে গভীর রাতে কর্মরত শ্রমিক আবুল মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী ঝাডু বেগম (২০) পাহারাদারকে বেঁধে তার সামনে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতিকারীদেরকে চিনতে পারার ফলে তারা এলোপাথারি কুপিয়ে তাদের ক্ষতবিক্ষত করে। পরে মৃত ভেবে তারা চলে যায়।হামলা করে নোয়াগাঁও গ্রামের কতিপয় কিছু সন্ত্রাসী লোকজন।

মুমূর্ষ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা নুরউদ্দীন আহমদ বাদী হয়ে ধষর্ণের চেষ্টাকারী ও সন্ত্রাসী লোকজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এতে পুলিশ প্রশাসন থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় পরবর্তীতে ৩০ মে রবিবার সাতাইহাল ও ৬ মৌজার গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিলে ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের বারবার নিবাচিত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ সেখানে অনেক মুরুব্বি উপস্থিত ছিলেন।

পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলার ইউএনও শেখ মহিউদ্দীন ও থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমেদের উপস্থিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে ৬ মৌজার লোকজন ঘরে ফিরে যায়। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে নোয়াগাঁও গ্রামের উৎশৃঙ্খল ও দৃষ্কৃতিকারীরা কয়েকটি ঘরে আগুন লাগিয়ে ৬ মৌজাবাসীকে হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে গ্রেফতার হন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের বারবার নিবাচিত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ আরো অনেকেই। বক্তারা গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। তার সাথে সাথে ৬ মৌজার মানুষের হয়রানি বন্ধের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি ফিশারীর পাহারাদার আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী ঝাড়ু বেগমের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা