ফ্রান্সে বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি অভিবাসীরা নিষিদ্ধ হতে পারেন

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: ফ্রান্সে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অভিবাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলের নেতা মারিন লো পেন। শুক্রবার নিজের টুইটার একাউন্টে মারিন লিখেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা আমাদের রাষ্ট্রদূতের শিরশ্ছেদ করতে চেয়েছে। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে এই দেশগুলোর অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক।’

মারিনের এই পোস্টে ফ্রান্সের অনেক সাধারণ মানুষকেও একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে দ্রুততম সময়ে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছেন সরকারকে।

ফ্রান্সের সরকার অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। তবে অভিবাসীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে গত মাসের শুরুতে খুন হওয়া ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করা হবে না।

ম্যাঁক্রোর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরই তুরস্ক এবং পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে।

এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইসলামের নবীকে নিয়ে আঁকা বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্রের কারণে মুসলিমরা কেন এতটা ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সেটা তিনি বুঝতে পারেন। তবে এর কারণে সহিংসতার যুক্তি তিনি কোনদিনই মানতে পারবেন না। আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, মুসলিম বিশ্বে তার কথা নিয়ে যে এরকম তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তার কারণ হচ্ছে লোকে ভুল করে ভেবেছেন তিনি নবীর ব্যঙ্গচিত্রকে সমর্থন করেছেন। অথবা তারা মনে করেছেন ফরাসি সরকারই বুঝি এই ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করেছে।

এর আগে গত মাসের শুরুতে প্যারিসের উপকন্ঠে স্যামুয়েল প্যাটি নামে এক স্কুল শিক্ষককে হত্যা করা হয়। তিনি ইসলামের নবীর (সা.) বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্র ক্লাসে ছাত্রদের সামনে প্রদর্শন করেছিলেন। এই হামলার পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ মন্তব্য করেছিলেন, ফ্রান্স কখনো সহিংসতার কাছে নতি স্বীকার করবে না।

এই ঘটনার জের ধরে ফ্রান্সের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশসহ কিছু দেশে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ম্যাক্রোঁর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। এরপর এরদোয়ানের সঙ্গে বাকযুদ্ধ শুরু হয় ফরাসি প্রেসিডেন্টের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা