সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ছাতক থেকে সাইফুর গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার একদিন পর রোববার সকালে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের উপজেলার নোয়ারাই ইউনিউনের নোয়ারাই ঘাট  এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইফুর ছাড়া বাকি ৫ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন।
উল
 শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুনী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী গাড়ির ভেতরে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রাইভেট কারটি তাদের জিম্মায় নেয় এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে প্রেরণ করে।
শনিবার ভোরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানায়  মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণীর স্বামী।
এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা