হবিগঞ্জে বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (২ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম সামছুর রহমান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, এসআই জাকির হোসেনকে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কখন প্রত্যাহার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৬) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলম চানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে মরদেহ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উলে¬খ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে। এরপর ৩১ মার্চ সিলেট থেকে প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে রোববার আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা