গ্রীসে নবীগঞ্জের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা॥ পরিবারে চলছে কান্নার মাতম

সংবাদদাতা নবীগঞ্জ::নবীগঞ্জের দুই বাংলাদেশি যুবককে ইউরোপের দেশ গ্রীসে একজনের মাথায় গুলি ও অপর জনের গলায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ গ্রিসের আসপোপিরগো নামক স্থান থেকে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে । নিহতরা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার বড়ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের কামড়াখাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আব্দুল মমিন(৪০) ও একই গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ শাহীন(৪২)।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়,গত প্রায় ১৪ বছর আগে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে গ্রীসে পাড়ি জমায় আব্দুল মমিন। এথেন্সের আসপোগিরগো এলাকায় একটি কন্টেইনারের পাহারাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত প্রায় ৭বছর পূর্বে শাহীন গ্রীসে গিয়ে মমিনের সাথে কাজে যোগ দেন। দুজন এক সাথেই কর্মরত ছিলেন।

১৪ সেপ্টেম্বর রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা একজনের মাথায় এবং অন্যজনের গলায় গুলি করে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার স্থানীয়রা দুজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা তাদের হত্যা করে পরিত্যক্ত দুটি কনটেইনারের পৃথক পৃথক রুমে রেখে যায়। তাদের একজন মাথায় ও আরেকজন গলায় গুলিবিদ্ধ ছিল।

গ্রিসের প্রচলিত আইনে এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস, গ্রিস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতুব্বর জোর দাবি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে গ্রিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস। জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ দেশে পাঠানো হবে।

সরেজমিনে কামড়াখাই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,নিহতের দুই বাড়ীতেই চলছে কান্নার মাতম। মা বাবা ভাই বোনসহ আত্মীয়স্বজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজনদের কান্নায় কাদছেন গ্রামবাসীও।

নিহত মমিনের মা গোলেছা বিবি ও শাহীনের মা আমেনা খাতুন ছেলের শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। নিহতদের মৃত দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজনদের।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাহি উদ্দিন জানান,গ্রীসে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আব্দুল মমিন ও শাহীন আহমেদের লাশ দেশে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা