নবীগঞ্জে শ্রমিক গ্রামবাসীর সংঘর্ষ।।সিএনজি ভাংচুর॥ আহত শতাধিক

আলী জাবেদ মান্না ॥ নবীগঞ্জে শ্রমিকদের সাথে গ্রামবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক সিএনজি ভাংচুর ও শতাধিক লোক গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় দুই শ্রমিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা বাজারে শ্রমিকদের সাথে বাউসা গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এতে করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নবীগঞ্জ শহরের সোনার-খনি থেকে বাউসা পয়েন্টের নির্ধারিত ভাড়া ১৫ টাকা। গ্রামবাসীর দাবি ১৫ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে শ্রমিকরা। তবে শ্রমিকরা বলছেন ৬ কিলোমিটার জায়গা গাড়ি চালিয়ে ন্যায্য ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। ১০ টাকা বেশি ভাড়া দিতে অনিহা গ্রামবাসীর। এরই সুত্রপাত ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তিন ঘন্টাব্যাপী শ্রমিক ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন (নবীগঞ্জ-বাহুবল) সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন,বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইয়াওর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মোঃ সালাম চৌধুরী (৫৫), মতিউর রহমান (৪০), শাহ আরফান (৯), মিঠু (২২), রমজান (৩০), আব্দুলা (২৬), রফি মিয়া (২৫),ফজলু মিয়া (৩৫), আব্দুল আলী (৩২), আব্দুল ওয়াহিদ (২৬), সুমন (২২), আব্দুল ওয়াহিদ (৫০), চদ্দর মিয়া (৪০), শাকিল (১৮), সুলেমান মিয়া (৩২), সাইদুল ইসলাম (৩০), আব্দুল মান্নান (৪৫), সোহাগ আহমেদ (২৫), হুমায়ূন মিয়া (২২), আরজু মিয়া (৬৯), ওয়াসকুরুনি (৪০), আব্দুল হক (২৫), সোহেল মিয়া (৩৭), স্বপন (২৩), ইমন (১৮), আব্দুল কাইযূম (৩০), সাজন মিয়া (৩০), সুরেন্দ সুত্রধর (৩৫), শানুর আলী (৩২), শাহিদুল (৩০), অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিতিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

শ্রমিকদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যে কোনো ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা