অগ্রাহায়ণে আমন ফসল নিয়ে শঙ্কায় জগন্নাথপুরের কৃষক!!

শাহ এসএম ফরিদ,জগন্নাথপুর থেকে::সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চলতি বছর অগ্রাহয়াণে অন্যতম ফসল আমনধান চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।বোরোধান নির্বিঘেœ গড়ে তুলায় এবছর কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।হাওর অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় বোরোধান ও আমনধান প্রতিবছরই চাষাবাদ করা হয়।এখন আমনধান চাষাবাদের জন্য বীজতলা প্রস্তুত ও চারাধান লাগানোর উপযুক্ত সময়।কিন্তু চাষআবাদের জমিতে বন্যার পানি এখন পর্যন্ত না নামায় আমনধান চাষ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনায় এলাকার কৃষকের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

জগন্নাথপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবারের আমনধান চাষাবাদের জন্য জগন্নাথপুর উপজেলায় ৮ হাজার ২শত আশি হেক্টর জমিতে রোপাআমন ধানের চাষাবাদের জন্য লক্ষমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে।নতুন জাতের বাইশ ও তেইশ ধানের আবাদ করতে কৃষকদের পারামর্শ দেওয়া হচ্ছে।বিশেষ করে কুশিয়ারা নদীর তীর্রবতী এলাকায় ভাসমান বীজতলা তৈরী করতে কৃষকদের বলা হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,গত মাসে উপজেলার আশারকান্দি,রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জনপদের বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবেশ করে।মানুষের বসতবাড়ি থেকে গত সাপ্তায় বন্যার পানি নেমে গেলেও আমনধান চাষাবাদের জমিতে পানি রয়ে গেছে।এসব বন্যার পানি চাষআবাদের জমিতে দীর্ঘমেয়াদি থাকার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।যার ফলে এসব এলাকার কৃষকরা আমনধান চাষ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।

পাইলগাঁও ইউনিয়নের মশাজানের কৃষক আহমদ আলী বলেন,আমাদের এলাকায় বোরোধান চাষ কমই হয়,আমনধান চাষ আমাদের একমাত্র ফসল,বীজতলা পানির নিছে,জমিও পানির নিছে,হয়ত এবছর চাষ করতে পারবনা।একই ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের শবক্বদর খান বলেন,বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় চাষাবাদের জমি এখনও পানির নিছে রয়েছে।অগ্রাহায়ণের আমনধান চাষ সময়মত করতে পারবনা।রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের কৃষক হাজী এখলাছুর রহমান আখলই বলেন,গত কয়েক বছরে আমরা এরকম বন্যার আর মুখোমুখি হননি।গবাদি পশুর পাশাপাশি বন্যায় ফিসারীর মাছের বড় ধরনের ক্ষতির পর এবার পানিতে ডুবে আছে আমন ধানের বিজতলা।

এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.শওকত ওসমান মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী কিছু এলাকায় বীজতলা তৈরী করতে সমস্যা হবে।আমরা রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নে দুটি ভাসমান বীজতলা তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছি।এ সাপ্তাহে কাজ শুরু করতে পারবো।অনেক জায়গায় তো পানি কমে যাচ্ছে।যদি পানি না কমে শীত কালিন সবজি চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।এখনো অনেক সময় আছে আশা করি এ সময়ে ভিতরে পানি কমে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা