অভাব থামাতে পারেনি প্রতিভাকে।। বাদাম বিক্রি করে লেখা-পড়া করছে মোস্তাক

মোঃ সুমন আলী খান, নবীগঞ্জ থেকে ॥ মাদরাসায় দাখিল সপ্তম শ্রেণীতে লেখা-পড়া করে শাহ মোস্তাক আলী (১৪)। লেখা-পড়া করার আগ্রহ তার খুবই বেশী। কিন্তু বাঁধা হয়ে দারালো অভাব। পরিবারের অভাব-অনটন তাকে বাঁধাগ্রস্থ করলেও সে কিছুতেই পিছপা হতে চায় না। তাই কোঁমর বেঁধে লেখা-পড়ার পাশা-পাশি ছোট পলিথিনের প্যাকেটে দূরপাল্লার গাড়ির যাত্রীদের কাছে বাদাম বিক্রি করছে সে। প্রতি ক্রেতার সাথে সে ব্যবহার করে নম্র ভদ্র শিক্ষিত লোকজনের মতো।

এ প্রতিনিধির সাথে হঠাৎ দেখা হয় উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দিস্থ মেহমানবাড়ি রেষ্টুরেন্টের সামনে। অল্প বয়সের এই বালক ও তাঁর ব্যবহার মন কাড়ে এই প্রতিনিধির। তিনি সাংবাদিক পেশা গোপন রেখে তার কাছ থেকে জানতে চান তার পারিবারিক অবস্থা। এক পর্যায়ে মোস্তাক তাঁর পারিবারিক অবস্থা ভদ্রতার সহিত বলতে শুরু করে সে জানায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ভানুদেব গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শায়েস্তা মিয়ার পুত্র। তাঁর পূরো নাম শাহ মোস্তাক আলী। তার আয়ের অংশ দিয়ে একদিকে পরিবারের ছয় সদস্যদের ভরন-পোষন ছালাচ্ছে। অপরদিকে সে লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসায় সপ্তম শ্রেনীতে লেখা-পড়া করে আসছে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় সে লেখা-পড়ার পাশা-পাশি পরিচিত দোকানদারদের কাছ থেকে পাইকারী দামে বাদাম ক্রয় করে তা ছোট পলিথিনে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে শুরু করে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রুস্তমপুর টোলপ্লাজা, আউশকান্দি গোল চত্তর, শেরপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে দূরপাল্লয় গাড়ির যাত্রীর কাছে।

প্রতি প্যাকেট বাদাম বিক্রি করছে ১০ টাকা। এতে প্রতি প্যাকেটে তাঁর আয় ৩/৪ টাকা। এতে প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ৯০ প্যাকেট বাদাম বিক্রি করে প্রায় ৩শত টাকা আয় করছে মোস্তাক। বভিষ্যতে সে কি হতে চায় জানতে চাইলে মোস্তাক বলে, সে লেখা-পড়া করে শিক্ষক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা