কুমিল্লার কর কমিশনারের বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি

নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :৬টি জেলা নিয়ে গঠিত কর অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক আরিফকে স্কাউটিংয়ে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ জাতীয় অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ (ঝরষাবৎ ঞরমবৎ) প্রদত্ত হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলে দেশ-বিদেশের কৃতী ১২ জন স্কাউটারকে বাংলাদেশ স্কাউটসের এ বিরল সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

কর কমিশনার আরিফ ইতিপূর্বে সকল বিসিএস ক্যাডারের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিপিএটিসিতে প্রথম স্থান অধিকার করে রেক্টরর্স স্বর্ণপদক (১৯৯৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোভারদের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্টস্ রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৮) এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রোটারী ক্লাব সভাপতি হিসেবে গভর্ণর স্বর্ণপদক (২০০৭-০৮) প্রাপ্ত। সমাজসেবায় দেশের ৮১ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে রোটারী ফাউন্ডশনে মিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনে কার্যকর নেতৃত্বের কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রোটারী গভর্ণর (২০১৭-১৮)। তিনি রোটারীর যুব আন্দোলন রোটার‌্যাক্ট এর অত্যন্ত সফল নির্বাচিত বাংলাদেশ প্রধান ছিলেন (১৯৯৪-৯৫)।

তিনি এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান (১৯৮১) অর্জন উত্তর রেসিডেনসিয়েল মডেল কলেজ হতে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস (১৯৮৭) ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক পড়হমষড়সবৎধঃব উঅঊডঙঙ এর ব্যবস্থাপক ছিলেন। পরবর্তীতে বিসিএস (ট্রেড), বিসিএস (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) এবং বিসিএস (ট্যাকসেশন) ক্যাডারে চাকুরী প্রাপ্ত হন।

আরিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট ছিলেন। নিবেদিত প্রাণ স্কাউটার হিসেবে স্কাউটিং এ অবদানের জন্য তিনি ইতিপূর্বে চীফ ন্যাশনাল কমিশনার অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি অ্যাওয়ার্ড (২০০৯) এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জাতীয় অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ (২০১২) প্রাপ্ত হন। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপ কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং), জাতীয় উপ কমিশনার (আন্তর্জাতিক) এবং জাতীয় উপ কমিশনার (ফাউন্ডেশন) এর দায়িত্বও দক্ষতার সাথে পালন করেন। জাতীয় কমিশনার (ফাউন্ডেশন) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ স্কাউটস্ ফাউন্ডেশনের রেকর্ড তহবিল সংগ্রহে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অব্যাহত আছে।

বহুমুখী কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয়ে তিনি মেধা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের ইংরেজি সংবাদ উপস্থাপক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাষ্টার অব সিরেমনিসহ বিজয় দিবসের জাতীয় প্যারেডেরও ধারাভাষ্যকার (২০০৭-০৯)। তিনি বিসিএস (ট্যাকসেশন) এসোসিয়েশন এর কোষাধ্যক্ষ (২০১৪-১৭), বিসিএস (ট্যাকসেশন) কোঅপারেটিভ এর মহাসচিব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকার নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য (বহুবার) এবং একাধিক ক্রীড়া ফেডারেশনের সহসভাপতি ছাড়াও বহু সামাজিক সংস্থায় সক্রিয় দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষকতা ছাড়াও বিপিএটিসি, বিসিএস (কর), বিসিএস (প্রশাসন), পুলিশ স্টাফ কলেজসহ বিভিন্ন বিসিএস প্রশিক্ষণ সংস্থায় নেতৃত্ব এবং আয়কর বিষয়ে অতিথি প্রশিক্ষক।

তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক প্রকৌশলী এম এম শামসুল হক এবং মাতা প্রাক্তন শিক্ষয়িত্রী মরিয়ম হক। স্ত্রী সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতকোত্তর রোকেয়া হক বিশ্বব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী পদে কর্মরত। পুত্র আসির আরিফ (২৪) এবং কন্যা অরিহা আরিফ (২৩) বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা