জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লন্ডনে যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সভা

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১৫ অগাস্ট যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে ‘যুদ্ধাপরাধ বিচারে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব অফিসে আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবি হক অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুলতান মাহমুদ শরীফ, সভাপতি, ইউকে আওয়ামী লীগ, আব্দুল আজিজ, প্রেসিডেন্ট, ন্যাপ, মজিবুল হক মনি, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাসদ, ইউকে, ডা. কাজী মুখলেসুর রহমান, প্রগতিশীল ফোরাম, আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক, সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটি, মতিয়ার চৌধুরী, সহ-সভাপতি, ইউকে নির্মূল কমিটি, নুরউদ্দিন আহমেদ, সম্মানিত সভাপতি ইউকে নির্মূল কমিটি। অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁর দুই সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয় ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আসীন পাকিস্তানপন্থী সামরিক–বেসামরিক স্বৈরশাসকরা একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার বন্ধসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে জাতিকে গভীর আত্মপরিচয়ের সংকটে ফেলে দেয় যা জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি একদশকের অধিক সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী দুই দশকে মানুষের মননে যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছে তা উপড়ে ফেলা কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রতিভাত হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, জাতির জনক শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নেতৃত্ব দেননি, নতুন দেশের নেতা হিসাবে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশের জন্য একটি বিশ্বসেরা সংবিধান ও সকল প্রয়োজনীয় মৌলিক আইন, প্রতিষ্ঠান ও নীতিমালা তৈরী করে যান। মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ ও আইনী কাঠামো তৈরী তাঁর অন্যতম প্রধান কীর্তি। বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরেন। যে দুটি আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে বা হচ্ছে তার সবগুলোই বঙ্গবন্ধুর করা।

সাংস্কৃতিক কর্মী মোস্তফা কামাল মিলন ও সঙ্গীতশিল্পী তানজিনা তানিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে গান পরিবেশন করেন। এতে কবিতা আবৃত্তি করেন ইউকে নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি আজাদ। সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামাল আহমেদ খাঁন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউকে নির্মূল কমিটি, এনামুল হক, কোষাধ্যক্ষ, জুয়েল রাজ, প্রকাশনা সম্পাদক, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, শেলিনা আক্তার জোছনা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, নির্বাহী সদস্য কাউন্সেলর মঈন কাদরী, জুসনা পারভিন, নাজমা হোসেন এবং আওয়ামী লীগের রহিমা আহমেদ, জাহানারা বেগম, বাতিরুল হক সর্দার, শহীদ আলী, শফিক মিয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা