রানীগঞ্জ ব্রীজে হামলার স্বীকার চলতি এসসি পরীক্ষার্থী নবীগঞ্জের রাফি।। ওসমানীতে প্রেরণ

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আবুল কালামের পুত্র চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী রাফি আহমদ(১৭)  জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ব্রীজে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের মধ্যযুগিয় বর্বরচিত হামলায় আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে অশ্চিত হয়ে পড়েছে তার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,আহত রাফি চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত শুক্রবার পরীক্ষা না থাকায় দূস্টিনন্দন রানীগঞ্জ ব্রীজে বিকেলে ঘুরতে যায়।  এ সময় সে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি উঠালে সেখানে অবস্থানরত স্থানীয় গন্ডবপুর গ্রামের আতর আলীর পুত্র আহমদ মিয়া অশ্লীল ভাষায় রাফিকে কটাক্ষ করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আহমদ রাফিকে লাথিসহ কিল তাব্বর মারতে শুরু করে। এ সময় আহমদের পক্ষে গন্ডবপুর গ্রামের কাজল মিয়ার পুত্র রাজেদ মিয়া,হারুন মিয়ার পুত্র হামজা,তেরাব আলীর পুত্র সাহেল ফুল মিয়ার পুত্র হোসাইনসহ১০/১২ জন যুবক। তারা দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লোহার রড নিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাফি প্রাণ বাচাতে দৌড়াতে থাকে। হামলাকারীরা পিছনে দৌড়ায়। প্রায় আধা কিলোমটার দুর গিয়ে রাফি একটি ব্যাটারী চালিতব টমটমে উঠলে টমটম গাড়িতে আক্রমণ করে মারপিট করা রক্তাক্ত করা হয়। পরে মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা  তার পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত অবস্থায় রাফিকে গত শনিবার  ইনাতগঞ্জ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসলে নাম ছাড়া আর কিছুই লিখতে পারেনি। পরে আবার ওসমানীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া তার প্রায় অনিশ্চিত।
আহত রাফির পিতা আবুল কালাম জানান,হামলাকারীদের সাথে তার ছেলের কোন পূর্ব শত্রুুতা ছিলনা। তারা এমন ভাবে মারপিট করেছে যেন মধ্যযুগিয় বর্বরতাকেও হার মানায়। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য,দৃষ্ট নন্দনভাবে নির্মিত হয়েছে রানীগঞ্জ সেতু। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। উদ্বোধন না হলেও  ব্রীজে সকাল থেকে সন্ধা পর্যান্ত দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। ইতিমধ্যে মুখে মুখে ব্রীজের নাম দেয়া হয়েছে সেলফি ব্রীজ।
এলাকাবাসী জানান,ব্রীজ নির্মানের পর স্থানীয় বখাটে কিছু যুবকের দাপট বেড়েছে বহুগুণ। দুর দুরান্ত থেকে ছেলে মেয়েরা ব্রীজে ঘুরতে গেলে আহমদ আলী ও তার সহযোগিদের দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার হতে হয়। আহমদ আলীর নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তোলেছে। তারা দাপটের সাথে রংবাজি করলেও প্রতিবাদ করার যেন কেউ নেই।
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন এখনি যদি আহমদ আলীগংদের থামানো না হয় ভবিশ্যতে ব্রীজে চাদাবাজিসহ বড় ধরনের দুর্টনা ঘটার সন্বাবনা রয়েছে। প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা